ম্যানগ্রোভে তখন ম্যাজিক: ভিতরকণিকা ২০১৯
অন্ধকার প্রায় নিশ্ছিদ্র। শুধু পথপ্রদর্শকের হাতের টর্চের আলো মাঝে মাঝে রাস্তা করে নিচ্ছে। আবছা অবয়ব জানিয়ে দিচ্ছে গভীর জঙ্গলের উপস্থিতি, অদূর ে, ঘাসজমির ওপাশে। কারা যেন চরে বেড়ায় ঘাসের মাঠে। টর্চ ফেলতে অবাক হয়ে তাকায় মৃগ মৃগী, নিষ্পাপ চোখে। গায়ে তাদের ছোপ ছোপ দাগ। উড়ে আসে ছোপ ছোপ দাগ, কুটুরে পেঁচা, স্পটেড আউলেট। গোল চোখ, আলোতে হরিদ্রাভ। স্কোপস আউলের ডাক নেই কোনো। তাকে খুঁজতেই এই অন্ধকার জঙ্গলে ঢোকা। কিন্তু ও কিসের আওয়াজ! বিশালদেহী কিছু যেন মাটির উপর ঘষটে এগোয়। টর্চের আলো পেঁচা থেকে সরে, ঘাস জমিতে পড়ে। দেখে শিউরে ওঠে শরীর। এক সুবিশাল কুমির। ফুট দশেক দূরে। এগিয়ে চলেছে এক ডোবার দিকে। তার ক্রূর চোখ মেপে নেয় আলোর উৎস। 'এখন ওদের মিলনের ঋতু। চলাচল তাই বেড়ে গেছে। জোয়ারের সময় খাঁড়ির জল ঢুকে পড়ে জঙ্গলে। উঠে আসে তারই সাথে। সাবধানে এগোনো ভালো' - পথপ্রদর্শক জানান। এই গরমেও যেন শিরদাঁড়া বেয়ে হিমেল অনুভূতি। ভিতরকণিকা। চিনিয়ে দিলে তোমার রূপ। *** আশঙ্কা তো ছিলই। ভারতবর্ষের আমাজন। শুনেছিলাম কুমির নাকি এখানে পায়ে পায়ে ঘোরে। গাছের ডালে জড়িয়ে থাকে বিষাক্ত সাপ। কিন...
Comments
Post a Comment