Posts

Showing posts from October, 2015

হাতছানি

সকাল বেলা ক্যামেরা কাঁধে বেরিয়ে পড়বো। পিঠে ব্যাকপ্যাকে থাকবে জলের বোতল আর শুকনো খাবার। জঙ্গলের পথে হাঁটতে হাঁটতে হয়ত এক অচেনা বাঁক। আর সেখানে বরফ শৃঙ্গের নতুন পরিচয়। ল্যাজঝোলা নীল ম্যাগপাই আর ফেজান্ট গুলোর সঙ্গে লুকোচুরি খেলতে খেলতে কখন যেন সকাল পেরিয়ে দুপুর, আর তার শেষে গা ছমছমে বিকেল। ধুপি গাছের ব্রহ্মদত্যির মতো লম্বাছায়ায় নিজের সাহসের মাপ। সন্ধ্যেবেলা সারাদিনের শিকারের হিসেব রামের গেলাসে ওম নিতে নিতে। অবশেষে রুটির সাথে চিকেন কারি খেয়ে কম্বলের তলায় গভীর ঘুম। হমিনস্ত ও হমিনস্ত ও হমিনস্ত!

হন্যমানে

Image
নীল কুয়াশা, একলা বাতিস্তম্ভ... হন্যমানে শরীরে, রাত বিপ্রলম্ভ...

লুকোচুরি

Image
ছোট্টো মলিন বিকেল পেরিয়ে, মফঃস্বলী সন্ধ্যে নামলে পরে – আমার আত্মার কয়েক টুক্‌রো সময়ের সাথে লুকোচুরি খেলা করে।      শতাব্দী পাঁচেক প্রবীণ, শাহী মসজিদ কফিন,       ফাটা পাঁচিল কঠিন, বটগাছ চারা নবীন,       ছায়া যেখানে পড়ে   বিকেল চারটের পরে,       কাঁধে ঝোলা নিয়ে,   গেট টপকাতে গিয়ে রাত গভীরে                                খুঁজে ফেরে               হাতের ছেঁড়া নুন ছাল।          নদীর বাঁধের ধারে, বাবলাগাছের সারে,          শীতের তীব্র হাওয়ায়, উষ্ণ দেহের আশায়,          সকল জনম ভ'রে,   দরদিয়ার জোরে          দিবানা যখন সরে,   ইন্টারভ্যালের পরে, কান্না ঝরে                                           খুঁজে ফেরে                     গলে যাওয়া রক্ত লাল। গলির মোড়ে চুপ করে বসে পড়ে, সময় যখন হাঁপাতে হাঁপাতে ফেরে - ঝপ করে তার টুঁটি জোর চেপে ধরে, গত শতকের হিসেব দাবী করে। হারিয়ে যাওয়া, উঁইয়ে খাওয়া, দস্তাবেজ, কি আর ফেরে?

ফিনিক্স

Image
"বুড়ি চাঁদ গেছে বুঝি বেনো জলে ভেসে..." হিমের রাতে ওই গগনের দীপগুলি আজ জ্বলেনি। মেঘের মিশেল বরফ হাওয়ায় আকাশ দিল ওই ডাক। বিদ্যুতের নীলাভ চমকে আঁধার নাছোড় সরেনি। ট্রাকের আলোর তীব্র ফোকাসে কুয়াশা সাদা ক্ষীণ বাঁক। কড়া কোহলের টক স্বাদে, জ্বলে যায় গলা বুক জিভ – তৃণোদপি অতীত প্রসাদে, বর্তমান চির উদ্‌গ্রীব। শীত, মাথার ভোঁতা যন্ত্রণা - ফিকে হয়, তুলনায়... ভোর এলো, আসছে রোদের হাতছানি। বাঁশপাতির বাদুড়-পাখা মিশে যায় কেয়ার সবুজে। বিজ্ঞ-পেঁচা মাথা নেড়ে গর্তে ঢোকে আপন গরজে। কাঠঠোকরার ভুতুড়ে স্বর ছাপিয়ে ওঠে আগুন পালকের ঝলকানি।

এই শহর

“এই শহর জানে আমার প্রথম সব কিছু...”   ডাকবাংলোর canopy-তে,         গুলমোহরের ঝরা পীতে,          হাত ছোঁয়ালে হারিয়ে যাওয়া শীতে। দুলহানিয়া দিলওয়ালে,              VCP-তে মন খেয়ালে,           হাত ছোঁয়ালে হাত সরিয়ে নিতে।। কিছু পরে শরত touch-এ,       স্বাধীন দিনে পাড়ার match-এ,           balcony-তে হালকা দেখা দিলে। গোলের মুখে ভ্যাবলা হেসে,           creating এক big mess-এ,           শালতি মেঘের ঝলকা আকাশ নীলে।। কয়েক বছর পেরিয়ে গেল,              কোজাগরীর চাঁদনী এল,          hostel-মাঠ আলোয় ভেসে গেল। ছাত্র তবু চাকুরে self,             তখনও যেন house-elf,         ডাবের জলে বাংলা মিশে এল।। class-পালানোর সূক্ষ্ম শৈলী,         দেবযানীতে “গঙ্গা মইলী”,         publicly বাবার বেতের বাড়ি। প্রথম নেশায় ভুল প্রলাপ,             miss করছি - মন খারাপ,         মাপ-বয়েসে দিল দিয়েছে পাড়ি।।

নির্ঘুম

আমার এই নিদ্রাবিহীন রাতে,     আমার এই হ্যাঙ্গওভারের প্রাতে,         যখন সব মণিপদ্মে হুম্‌ … কালো? তা সে যতই কালো হোক ,     দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ -         কাজল কোণে আটকে থাকা ঘুম। দেখেছো কি কাজল-মোছা কান্না?     শুনেছো কি চার-পেগেতে “আর না”?         বলি তোমার ঐ লিভারের দোহাই! আমার জীবন শেষ শ্রাবণে আপন,     রাত গভীরে যখন কাঁদায় লালন -         ফিরে তোমায় পাকে পাকে জড়াই।।

অজান খবর...

"অজান খবর না জানিলে কিসের ফকিরি" আজ রাতে রামের আলস্য আর উষ্ণতায় মাখা জীবনের টুকরো। কার্তিক মাসের হিমেল হাওয়া। বাড়ির গেট। পুর্বপুরুষের জন্য সাজানো আকাশপ্রদীপের মায়াবী আলো। আজন্মের বাড়ি, যেখানে জীবনের প্রথম আনন্দ, প্রথম দুঃখ, প্রথম পাপ আর প্রথম পুণ্যের অনুভব। যেখানে বড় হওয়া, বুড়ো হওয়া। অথচ কি যেন রহস্যময়, কি যেন নতুন। শিরশিরে, ভয় মেশানো আনন্দ। এখানেও অজানা! ফকির আর হওয়া হল না :-(